My Uncle's Family (Ep-01) : Don't Disturb
(বিকেল চারটে। অঞ্জন নিজের রুমে মোবাইলটা রেখে বাইরে কোথাও গিয়েছে। ঘরে কেউ নেই এবং মোবাইল বিছায় পড়ে)
অসীম : দাদা বোধহয় কোথাও গিয়েছে। যাই মোবাইলটা নিয়ে ছাদে।
(ছাদে গিয়ে গেম খেলতে শুরু করে। মোবাইলে চার্জ কম, তাই পাওয়ার ব্যাংকটা মোবাইলের সঙ্গে কানেক্ট করে নেয়)
অসীম : (চিৎকার করে) মার মার মার ডানদিকে, আরে তোর ডানদিকে মার।
(এইভাবেই চিৎকার করে খেলা চলতে থাকে কিছুক্ষণ। কিন্তু কিছুক্ষন পর তার 'মার মার' চিৎকার গুলোকে নিচের রাস্তায় কেউ যেন নকল করতে থাকে। ঘটনাটা অনেকবার ঘটতে অসীম রেগে আগুন হয়ে যায়। খেলার সময় এইসব বেয়াদবি কার বা সহ্য হয়। শেষে রেগে গিয়ে পাশে পড়ে থাকা পাওয়ার ব্যাংকটা ছুঁড়ে মারে রাস্তার দিকে। ছুঁড়ে মারবার মুহূর্তেই সাইকেল পড়ে যাওয়ার ভীষণ শব্দ কানে এসে বাজে। দৌড়ে গিয়ে দেখে তার স্কুলের অংক স্যার রাস্তায় পড়ে আছে। দেখা মাত্র তক্ষুনি দৌড়ে নিচে নেমে মোবাইল রেখে বাড়ি থেকে গায়েব হয়ে যায়)
(অনেকটা সময় পর অঞ্জন নিচ থেকে পাওয়ার ব্যাংকটা কুড়িয়ে এনে বিছানায় রাখে। ততক্ষনে স্যার ডাক্তার খানায়। অঞ্জন মোবাইল খুলে দেখে 05:05 বাজে এবং মোবাইলের চার্জ অনেকটাই কমে গেছে। অসীম বাড়ি ফিরে নিজের রুমের মধ্যে বসে। অঞ্জন জিজ্ঞেস করে)
অঞ্জন : ছাদে কেউ গিয়েছিল নাকি রে ?
অসীম : ( নিজের রুমে বসে) দেখিনি আমি।
অঞ্জন : তুই গিয়েছিলিস নাকি ?
অসীম : না আমি যাইনি। আমি তো পড়ছি।
অঞ্জন : আচ্ছা পড়, আর গুপী স্যারকে বলে দিয়েছি তোর কথা। যেদিন টিউশন হবে চলে যাবি।
My Uncle's Family (Ep-02) : মায়ের ঝাঁঝ
কাকু : (একমনে খবরের কাগজ পড়তে থাকে)
ছোটো মা : কি গো বাজার করতে যাবে যে।
কাকু : হ্যাঁ হ্যাঁ যাচ্ছি। আর একটু দেখে নিই।
অসীম : (মোবাইল ফোনের ক্যামেরাতে চুল ঠিক করতে থাকে)
অঞ্জন : (অন্যমনস্ক ভাবে) আয়নাটা ভাঙলো কে আবার।
অঞ্জন : (অসীমকে চুল ঠিক করতে দেখে) ও তার মানে তুই ভেঙেছিস।
অসীম : (মোবাইলটা ফট করে নামিয়ে নিয়ে, আমতা আমতা করে) কই না তো।
অঞ্জন : এরপর আমার মোবাইলটা ভাঙতে বসেছিস নাকি?
অসীম : না না মোবাইল কেন ভাঙবো। গেম খেলতে হবে না।
অঞ্জন : তুই আবার ওই গেমটা ইন্সটল করেছিস।
অসীম : (মিট মিট করে হাসে)
অঞ্জন : একটু পড়াশোনা কর না। (ছোটো মায়ের দিকে তাকিয়ে) দেখো ছোটো মা আবার গেম খেলতে শুরু করেছে।
ছোটো মা : এ ছাগলটা আমার হাতে একদিন ভীষণ মার খাবে।
অঞ্জন : পড়াশোনা টা কর ভালো করে। পড়াশোনা না করে কি নেতা হবি ?
অসীম : (আগের মতোই ফিক ফিক করে হাসে)
ছোটো মা : (মাথায় একটা চাঁটি মেরে) দেখ আরও ফিক ফিক করে হাসছে সে। ও তোর ভালোর জন্যই তো কথা গুলো বলছে নাকি।
অসীম : (মোবাইল দেখে আবার চুল ঠিক করতে থাকে)
ছোটো মা : মোবাইল দিলি ওকে।
অসীম : (তাড়াতাড়ি মোবাইলটা অঞ্জনকে দিয়ে দেয়)
কাকু : (আগের মতোই কাগজ পড়তে থাকে)
ছোটো মা : তোমায় বাজারে যেতে বললাম যে।
কাকু : হ্যাঁ যাচ্ছি যাচ্ছি, আর একটু দেখে নিই।
নন্দু : Hi অঞ্জন দা।
অঞ্জন : (একবার অসীমের নন্দুর দিকে তাকায়)
নন্দু : Hi কাকিমা।
ছোটো মা : হুম্ (বলে বাড়ির ভেতর চলে যায়)
নন্দু : Hi কাকু। (উত্তর না দিতে দেখে আর একবার বলে) Hi কাকু।
কাকু : শুনেছি শুনেছি।
নন্দু : Hi অস...
অসীম : ধ্যাত, hi তোর পকেটে রাখ। কি দরকারে এসছিলি সেটা বল।
নন্দু : কি দরকার মানে। যাবি কখন।
অঞ্জন : (একবার অসীম আর একবার অসীমের নন্দুর দিকে তাকায়)
অসীম : কোথায়?
নন্দু : আরে... ফিস্টে।
অসীম : ওহঃ একদম ভুলে গিয়েছিলাম। দাঁড়া এক মিনিট মা কে বলে দিই।
অসীম : মা আ আ আ
ছোটো মা : কি হয়েছে। (দূর থেকে বলেন কথা গুলো)
অসীম : আজকে দুপুরে বাড়িতে খাবো না আমি।
অঞ্জন : কেন রে আজকে বড়ো বাইরে হয়নি।
অসীম : (অঞ্জনের দিকে তাকায়)
নন্দু : (অঞ্জনের কথা শুনে হেসে উঠে)
অসীম : (নন্দুর দিকে তাকিয়ে) ত্যাত।
মা : (বাড়ির ভেতর থেকে এসে) কেন, খাবি না কেন?
অসীম : ওই আমরা কয়েকজন নন্দু মিলে বনভোজন করছি, তো দুপুরে ওখানেই খাবো।
ছোটো মা : কি খাবার ?
অসীম : ভাত!
অঞ্জন : ওহ্ হো তোকে কি ওখানে মুড়ি খাবার কথা বলছে নাকি। ভাত ছাড়া আর কি কি হচ্ছে। যেমন মাছ, মাংস, ডিম নাকি নাকি আলুপোস্ত।
নন্দু : হ্যাঁ ঠিক তো আলুপোস্ত টা রাখবো মেনুতে।
অসীম : না।
নন্দু : আরে আলুপোস্ত আমি বানিয়ে দেবো। YouTube দেখে শিখে নিয়েছি।
অসীম : তবে তো একদমই না।
অঞ্জন : কি হলো বল কি কি মেনু হচ্ছে।
অসীম : তোমার কি লোভ লাগছে।
অঞ্জন : মেনু না বললে লোভ লাগাবো কি করে।
নন্দু : হ্যাঁ তাই তো পুরো ...
অসীম : (নন্দু উল্টো পাল্টা কিছু বলার আগেই) মাংস, মাংস আলুভাজা আর...
ছোটো মা : আজ কি তিথি?
নন্দু : না, তিথি তো আসবে না। ওর বাড়িতে আসতে দেবে না।
অঞ্জন : ওহ্ কি তিথি। আজকে যে মাংস খাবি। কি তিথি।
অসীম : কি তিথি?
ছোটো মা : পঞ্চিকা এনে দেখতে হবে নাকি?
অঞ্জন : দাঁড়াও ছোটো মা। আমি মোবাইল দেখে বলছি।
অসীম : (ভ্যাবাচ্যকা খেয়ে যায়)
অঞ্জন : আজকে বৃহঃস্পতি বার।
অসীম : (ঢোক গিলে)
ছোটো মা : আজ বৃহঃস্পতি বার, আর তুই মাংস খাবি। হায় ঠাকুর ক্ষমা করো, ক্ষমা করো। বাচ্চা ছেলে ভুল করে ফেলেছে।
অসীম : শুধুই বৃহঃস্পতি বার, আর তো কিছু নয় আজকে।
অঞ্জন : আর... পূর্ণিমা, অমাবস্যা।
নন্দু : এত ঠেসাঠেসি কেন ?
অসীম : (নন্দুর দিকে তাকায়)
অঞ্জন : না না অমাবস্যা নয় পূর্ণিমা।
অসীম : (ভয়ে চোখ বড়ো করে ছোটো মায়ের দিকে তাকায়)
ছোটো মা : তুই পূর্ণিমাতে মাংস খাবি। হায় হায় ঘোর অমঙ্গল, ঘোর অমঙ্গল।
অঞ্জন : আর...
অসীম : (কান্নার পর্যায়) আরও কিছু রয়েছে নাকি?
অঞ্জন : (অবাক হয়ে) হা
নন্দু : কি হলো।
অঞ্জন : আজ তো চন্দ্রগ্রহণ রয়েছে।
ছোটো মা : আজ চন্দ্রগ্রহণ রয়েছে? আজ এতবড়ো একটা তিথি আর তুই মাংস..
অসীম : চন্দ্রগ্রহন তো রাতে রয়েছে।
ছোটো মা : (কান ধরে) রাতে গ্রহণ বলে এখন যা খুশি করবি নাকি।
অসীম : (কাঁদো মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকে)
নন্দু : (অসীমের দিকে তাকিয়ে বলে) দাঁড়া, আমি রাজি করাচ্ছি কাকিমা কে।
নন্দু : কাকিমা ১০, ১৫ মিনিটের ব্যাপার। বেশিক্ষণ লাগবে না খেতে।
ছোটো মা : (প্রচণ্ড রেগে অসীমের নন্দুর দিকে তাকায়)
নন্দু : (ভয়ে – প্রথমে ছোটো মা ও পরে অসীমের দিকে তাকায় তারপর আস্তে আস্তে কেটে পড়ে)
ছোটো মা : (অসীমের দিকে তাকিয়ে) কোথাও যদি বেরিয়েছিস আজকে তবে আমার চেয়ে ভয়ংকর আর কেউ হবে।
কাকু : ওটা ভয়ংকরী হবে।
ছোটো মা : (ফট করে ঘুরে) কখন থেকে বাজারে যেতে বলেছিলাম। এখনো গ্যাট হয়ে বসে আছো।
কাকু : হ্যাঁ যাচ্ছি যাচ্ছি। (বলে উঠে চলে যায়)
অসীম : (মুখ গোমরা করে থাকে)
অঞ্জন : (অসীমকে দেখে মুখ টিপে হাসে)
অসীম : (অঞ্জনের দিকে তাকিয়ে) আরও কিছু আছে নাকি আজকে।
অঞ্জন : নাহ্ আর কিছু নেই।
কাকু : শুনছো, আমি বেরিয়ে গেলাম বাজারে।
ছোটো মা : হ্যাঁ, আজকে বেশি করে একটু সজনে ডাঁটা নিয়ে আসবে।
অসীম : (অসীমের মুখ সাদা হয়ে যায়)
My Uncle's Family (Ep-03) : কালা বলা বারণ
○ বাড়ির ভেতরের দৃশ্য:
কাকু : (অ্যাপ্রণ পরতে থাকে)
ছোটো মা : (কাকুর দিকে তাকায়)
অসীম : (বাদাম খেতে থাকে)
অঞ্জন : (মুখে শব্দ করে) আমার অ্যাপ্রন টা কোথাও গেল। দেরি হয়ে যাচ্ছে কলেজে যেতে। ছোটো ছোটো মা জানো তুমি আমার অ্যাপ্রন টা...
মা : (অঞ্জনের দিকে তাকায়, তারপর চোখে ইশারা করে কাকুর দিকে)
অঞ্জন : (কাকুর দিকে তাকাতে) ও কাকু পরেছে। কাকু অ্যাপ্রন টা দাও কলেজ যাবো দেরি হচ্ছে।
কাকু : (কাগজ দেখতে থাকে)
অসীম : (কাকুর দিক থেকে অঞ্জনের দিকে তাকিয়ে) বাদাম খাবে।
অঞ্জন : (অসীমের দিকে তাকিয়ে) না আমি খাব না, তুই খা।
অসীম : ok (বলে বাদাম খেতে থাকে)
অঞ্জন : (অসীমের দিক থেকে কাকুর দিকে তাকায়) কাকু
কাকু : অ্যা।
অঞ্জন : আমার অ্যাপ্রন টা।
কাকু : আমার আপন কি না তুই? (রেগে এদিক ওদিক তাকিয়ে) কে বলেছে তুই আমার আপন নস। কে বলেছে বল না একবার...
নন্দু : (ঘরে ঢুকে কাকুর কথা শুনে অবাক হয়ে কাকুর দিকে তাকায়)
কাকু : (নন্দুর দিকে তাকিয়ে) তুই বললি ?
নন্দু : (কাকুর দিকে তাকিয়ে) না না আমি না।
মা : ওরে আমার কালা আদমি, অ্যাপ্রন বলছে ও অ্যাপ্রন।
অসীম : (প্রথমে মায়ের দিকে তারপর কাকুর দিকে তাকায়)
কাকু : তুমি আমাকে কালা বললে।
অঞ্জন : (মুখে শব্দ করে ছোটো মা ও কাকুর দিকে তাকায়, তারপর মাথায় হাত দেয়)
ছোটো মা : কালা বলবো না তো কি বলবো। ও তো তোমায় অ্যাপ্রন চাইছে।
অসীম : (প্রথমে মায়ের দিকে তারপর কাকুর দিকে তাকায়)
কাকু : আমি কালা?
ছোটো মা : হ্যাঁ তুমি...
অসীম : ওহ তোমরা চুপ করবে। (ছোটো মায়ের দিকে তাকিয়ে) আমি বলছি বাপি কে।
ছোটো মা : ওই কালা লোকটাকে তুই আর কী বোঝাবি বল তো।
কাকু : তুমি আবার আমাকে...
অসীম : ওহ stop this here. তোমরা চুপ করবে please. (কাকুর দিকে ঘুরে) বাপি দাদা অ্যাপ্রনটা চাইছে। কলেজ যাবে।
কাকু : (অঞ্জনের দিকে তাকিয়ে) তো সহজ করে বললেই হয়, অ্যাপ্রন চাইছিস।
অঞ্জন: (মুখে শব্দ করে ডানে বায়ে মাথা ঘোরায়)
নন্দু : (কাকুর দিকে তাকিয়ে হাসে)
অঞ্জন : (মোবাইল বেজে ওঠে)
ছোটো মা : এ আমি কার পাল্লায় পড়লাম ভগবান।
অঞ্জন : (মোবাইল কানে নিতেই)
কলেজের বন্ধু : আরে কোথায় রে তুই, আমি নাইট্রিক এসিড নিয়ে বসে আছি।
অঞ্জন : (হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে) গলায় ঢেলে নে ওটা।
কলেজ ছাত্র : কি সব আবোল তাবোল বকছিস। তাড়াতাড়ি চলে আয়।
কাকু : (অ্যাপ্রন খুলতে খুলতে) একটু ঠান্ডা লাগছিল তো সেই জন্যে এটা গায়ে দিয়েছিলাম।
অঞ্জন : কাকু শীতকালে শরীর কে গরম রাখবার জন্য সাদা নয় কালো পোশাক পরতে হয়।
অসীম : (জ্যাকেট পরতে পরতে) সেই জন্যেই আমি শীতকালে কালো শয়টার পরি।
নন্দু : আরে লালের উপর কালো এত, পুরো আমার ...। (অসীম কথা থামিয়ে দেয়)
অসীম : (র কথা থামিয়ে জ্যাকেট খুলে ফেলে)
○ বাইরে বাদাম বাদাম গান শুনে:
নন্দু : আবার কে চালিয়েছে বল তো এই গানটা
অসীম : সারাদিনে 50 বার শুনে শুনে কানের স্টেপিস ফেটে যাবে দেখছি। (কে হঠাৎ বেরিয়ে যেতে দেখে ওর দিকে তাকায়)
○ গেট খুলে বাইরে বেরিয়ে আসে
নন্দু : ওই, দাড়া। (বলেই ছেলেটার দিকে তেড়ে যায়)
Unknown Boy : (ছেলেটা একবার পেছনে ফিরে তাকায়, তারপর ভয়ে দৌড়াতে থাকে)
নন্দু : (দৌড়াতে দৌড়াতে) আব্বে দাড়া, পালাচ্ছিস কোথায়?
○ বাড়ির ভেতরের দৃশ্য:
কাকু : (অ্যাপ্রনটা খুলে অঞ্জনের দিকে এগিয়ে দেয়) এই নে।
অঞ্জন : (হাত বাড়িয়ে অ্যাপ্রন টা নেয়)
নন্দু : (হাঁফাতে হাঁফাতে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে)
অসীম : এত হাঁফাচ্ছিস কেন?
নন্দু : পালিয়ে গেল মালটা। একবার ধরতে পারলে না, বাদাম দিয়ে পেছনের ...।
অসীম : Stooooop (ধীর ও কঠিন গলায় নন্দুর কথা কাটে)
অঞ্জন : (নন্দুর কথায় একটু কেশে, নন্দুর দিকে তাকিয়ে) বাইরে গিয়েও বলা যায়। (তারপর ছোটো মায়ের দিকে তাকিয়ে) আচ্ছা ছোটো মা আমি আসি এখন।
ছোটো মা : (অঞ্জনের দিকে তাকিয়ে) আচ্ছা আয়। (অন্য দিকে তাকিয়ে) দুগ্গা দুগ্গা।
অঞ্জন : (ছোটো মায়ের দিকে তাকিয়ে হেসে) কলেজে যাচ্ছি আমি ছোট মা, আফ্রিকাতে সিংহ শিকার করতে না।
ছোটো মা : আচ্ছা তুই আয় এখন, দেরি হচ্ছে তোর।
অঞ্জন : হ্যাঁ।
অসীম : (একটু ক্ষণ চুপ থেকে) বাপি তুমি কালকের মধ্যেই একটা কানে শোনার মেশিন কিনে নাও।
ছোটো মা : কতবার বলেছি একটা মেশিন কিনো, একটা মেশিন কিনো। শুনবেই না আমার কথা।
কাকু : কি হবে মেশিন কিনে, আমি কি কালা নাকি?
অসীম : (মুখে শব্দ করে)
নন্দু : না কাকু এটা কিন্তু সত্যি যে তুমি আগের চেয়ে আরো বেশি কালা হয়ে গেছো।
কাকু : (নন্দুর দিকে তাকায়)
অসীম : (অবাক হয়ে) হয়ে গেল।
কাকু : (নন্দুর দিকে তাকিয়ে) কি? আমি কালা? তোর বাবা কালা। তোর তোর দাদু কালা। তোর তোর...
নন্দু : (অবাক হয়ে কাকুর দিকে তাকায়)
অসীম : (ইশারা করে কে চলে যেতে বলে (তারপর কাকুর দিকে তাকিয়ে) মামাদাদু কালা।
কাকু : হ্যাঁ মামাদাদু কালা।
নন্দু : (যেতে যেতে অসীমের দিকে অবাক হয়ে ফিরে তাকায়)
অসীম : (দুঃখিত ইঙ্গিত ও ইশারা করে পালিয়ে যেতে বলে)
নন্দু : (চলে যায়)
কাকু : তোর তোর... (বলতে বলতে অসীমের দিকে তাকায়)
অসীম : (কাকুর দিক থেকে নন্দুর দিকে তারপর কাকুর দিকে তাকিয়ে বলে) চলে গেছে।
My Uncle's Family(Ep-04) : জন্মদিনের উপহার
Scene 1
ছোটো মা : (প্রবেশ করে)
কাকু : (ঘ্রাণ নিতে নিতে ঘরে প্রবেশ করে)
নন্দু : (ঘরে প্রবেশ করে)
কাকু : (ঘ্রাণ নিয়ে) আজকের সন্ধ্যেটা জমে যাবে বলে মনে হচ্ছে।
নন্দু : (অবাক হয়ে কাকুর দিকে তাকায়)
ছোটো মা : (কাকুর দিকে তাকিয়ে) তোমায় চুপ থাকতে বলছিলাম না।
অঞ্জন : (মায়ের দিকে তাকায়)
কাকু : (মুখে আঙুল দেয়)
ছোটো মা : নিয়ে এসেছো ওটা।
কাকু : (মাথা নাড়িয়ে) হুম্।
নন্দু : (অবাক হয়ে) কাকু এই বয়সেও। যাক গে প্রোটেকশান থাকলেই হলো।
অঞ্জন : (তাড়াতাড়ি নন্দুর দিকে তাকিয়ে) ও ভাই ওনারা অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলছে। তুই সেটা ভাবছিস সেটা নয়।
ছোটো মা : (অঞ্জনের দিকে তাকায়)
নন্দু : ও ও ও ... হো হো। Sorry sorry!
কাকু : (নন্দুর দিকে তাকায়)
নন্দু : (অঞ্জনের দিকে তাকিয়ে) অসীম কোথায়?
অঞ্জন : ছাদে বোধ হয়।
নন্দু : (বেরিয়ে যায়)
কাকু : (অঞ্জনের দিকে তাকিয়ে) কি বলছিল ও।
অঞ্জন : কিছু না কাকু, বাদ দাও পাগলটা।
Scene 2
অসীম : (ছাদে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবতে থাকে) আজকে আমার বার্থ ডে কারুর মনেও নেই। কেউ wish করলো না। খাবো না আজকে। (বলে আকাশের দিকে তাকায়)
নন্দু : (ছাদে ওঠে আসতে আসতে) কি রে এখানে দাঁড়িয়ে কি করছিস?
অসীম : (উদাস মনে) কিছু না, পাখি দেখছি।
নন্দু : (নিচের দিকে তাকাতে তাকাতে) কই কই কই কোথায় কোথায়?
অসীম : আরে ওদিকে কি, এদিকে উপরে। (আকাশের দিকে দেখায়)
নন্দু : ও... তাই বল। (কিছু বলার জন্য অঙ্গভঙ্গি করে)
অসীম : কিছু বলবি?
নন্দু : না কিছু না।
অসীম : ওহ আচ্ছা।
নন্দু : আসলে একটা কথা...
অসীম : হ্যাঁ একটা কথা...
নন্দু : একটা কথা বলবো ভাবছিলাম।
অসীম : হ্যাঁ হ্যাঁ বল না, No problem.
নন্দু : (কিছুক্ষন চুপ চাপ দাঁড়িয়ে থাকে)
অসীম : (নন্দুকে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে) আরে কি হলো কি বলবি যে।
নন্দু : ও হ্যাঁ। আসলে আজকে পেছনের ফোঁড়াটা প্রচুর ব্যাথা করছিল তাই আর স্কুলে যেতে পারিনি। Sorry!
অসীম : (হাসি মুখ গোমড়া করে) এইটা বলার ছিল।
নন্দু : (উপর নিচে মাথা নাড়ায়)
অসীম : (উল্টো দিকে ঘোরে)
নন্দু : আরও একটা কথা বলার ছিল।
অসীম : (সামনে ঘোরে) হ্যাঁ হ্যাঁ বল বল কি আরেকটা কথা।
নন্দু : ফোঁড়া টা না পেকে গেছে।
অসীম : তো যা না ফণীমনসার ঝোপে পোঁদ গুঁজে বসে থাকবি। এখানে কি? (উল্টো দিকে ঘোরে)
নন্দু : (কাঁধে হাত রেখে) এই শোন না।
অসীম : (কাঁধ নাড়ায়)
নন্দু : আরে শুনবি তো কি বলছি।
অসীম : (জোরে কাঁধ নাড়ায়) যাবি এখান থেকে, ভালো লাগছে না আমার কিছু।
নন্দু : (একটু থেমে) Happy Birthday.
অসীম : (ফস করে ঘুরে) তোর মনে আছে। (নন্দুকে জড়িয়ে ধরে তারপর হাত দিয়ে পেছনে চাপড় মারতে থাকে) Thank you ভাই thank you.
নন্দু : (ফোঁড়ার ব্যাথায় কঁকিয়ে উঠে) উ উ উ...উফ্। ফোঁড়া ফোঁড়া।
অসীম : ও ও ও...ওহ্। Sorry sorry sorry.
Scene 3
কাকু : একটু সময় নিয়ে বলিস।
অঞ্জন : এতক্ষন কি আর জানতে বাকি আছে!
কাকু : (নম্বর ডায়াল করে কানে ধরে)
Scene 4
নন্দু : ...বুঝলি। (নিচে কি কি পরিকল্পনা চলছে তার আভাস দেয়)
অসীম : হুম্।
নন্দু : মিছিমিছি মন খারাপ করছিস। চল নিচে।
Scene 5
কাকু : ...কিছু না, তোর ভাইয়ের জন্মদিন...
নন্দু : (প্রবেশ করে)
অঞ্জন : কাকু (চাপা স্বরে বলে)
কাকু : (চাপা স্বরে) তোর ভাইয়ের জন্মদিন পালন করা হচ্ছে।
অসীম : (প্রবেশ করে)
অঞ্জন : Happy Birthday.
অসীম : Thank you.
কাকু : এই নে ভাইয়ের সঙ্গে কথা বল।
অসীম : (বিরক্ত হয়ে) বাপি!
কাকু : নে।
অসীম : হ্যালো
যমজ দিদি : Happy Birthday.
অসীম : Same to you. হুম্ (বলে ফোনটা কাকুর দিকে এগিয়ে দেয়)
নন্দু : (Happy Birthday র প্রত্তুতরে same to you বলায় অবাক হয়ে আসীমের দিকে তাকায়। কারণ সে জানতো না তার কোনো দিদি আছে বলে)
কাকু : আচ্ছা ভালো থাকিস। আর বাড়ি এলে তুই যেটা চাইবি ওটাই কিনে দেবো। এখন রাখি হ্যাঁ। ...হ্যাঁ।
ছোটো মা : (প্রবেশ করার পর) উফ্ কি গরম।
কাকু : গরম লেগে গেল।
ছোটো মা : তুমি পুরুষ মানুষ হয়েছো বুঝবে কি, রান্না ঘরে থাকার কত জ্বালা।
অঞ্জন : (কাশতে থাকে)
কাকু : এখন পুরুষ মানুষেরাও রান্না-বান্না করে।
ছোটো মা : তুমি তো করো না।
অঞ্জন : (মায়ের দিকে তাকিয়ে) আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আজকের দিনে আবার। (তারপর কাকুর দিকে তাকিয়ে) কাকু তুমি কি বলবে বলছিলে যে।
অসীম : (অঞ্জনের দিকে তাকায়)
কাকু : (অঞ্জনের দিকে তাকিয়ে বলে) ও হ্যাঁ। (অসীমের দিকে তাকিয়ে বলে) তোর জন্যে কিছু নিয়ে এসেছিলাম। ফ্রিজে রাখা আছে দেখে...
অসীম : (দৌড়ে চলে যায়)
ছোটো মা : (অসীমের দিকে তাকিয়ে) আরে আস্তে যা পড়ে যাবি তো।
নন্দু : (অঞ্জনের দিকে তাকিয়ে মুখ নেড়ে কি ব্যাপার জিজ্ঞাসা করে)
অঞ্জন : (মুখ বাঁকিয়ে কিছু জানে না বলে)
অসীম : (মুখ বিকৃতি করে প্রবেশ করে)
কাকু : কি রে ঠিকঠাক তো।
অসীম : তিনটে মিষ্টি ছিল কিন্তু কিরকম একটা গন্ধ করছিল খাওয়ার সময়।
মা : আরে ওগুলো তো পচা মিষ্টি গুলো ফেলবো বলে আর ফেলা হয়নি।
অসীম : ওয়াক ওয়াক (করতে থাকে)
কাকু : আর কিছু দেখতে পাসনি।
অসীম : কিছু সবজি আর...
কাকু : কোনের দিকে কিছু ছিল না?
অসীম : হ্যাঁ একটা কালো পলিথিনে কিছু মোড়া ছিল। ওটাই কি?
কাকু : (উপর নিচে মাথা নাড়ায়)
অসীম : (চলে যায়)
অঞ্জন : কি এনেছো কাকু, দই...
কাকু : না না মোবাইল।
অঞ্জন : মোবাইল!
নন্দু : (অবাক হয়ে কাকুর দিকে তাকায়)
অসীম : (প্রবেশ করে) এটা কি করেছো বাপি মোবাইল কেউ ফ্রিজের ভেতর রাখে।
কাকু : তোর মা তো বললো।
ছোটো মা : আমি আবার কখন বললাম।
কাকু : তুমিই তো বললে যা এনেছো ফ্রিজে রেখে দাও।
অসীম : (মোবাইল বের করে দেখতে থাকে)
অঞ্জন : (কপালে হাত চাপড়ায়)
নন্দু : আরে ভাই নতুন মোবাইল, বাহ্ বাহ্ ...
অসীম : (হাসি মুখে মোবাইল দেখতে থাকে)
নন্দু : ...আমিও পরের মাসে ভাবছি একটা মোবাইল কিনবো। তারপর সেইদিন সারারাত 10 ভিডিও দেখবো।
অসীম : (চমকে নন্দুর দিকে তাকায়)
অঞ্জন : (আবার হয়ে নন্দুর দিকে তাকায়)
কাকু : এই 10 ভিডিওটা আবার কি? বেন টেনের মতো কিছু কার্টুন নাকি।
নন্দু : হা হা হা ইন্টারেস্টিং কা... (অসীম কথা আটকে দেয়)
অসীম : (কথা আটকে তাড়াতাড়ি বলে) এই ছাদে চল কিছু ছবি তুলে দেখি ক্যামেরাটা কেমন।
কাকু : নতুন কার্টুন মনে হচ্ছে। দেখতে হবে টিভিতে দেয় কিনা।
অঞ্জন : (বেরিয়ে যায়)
Scene 6
সূর্য অস্ত যাওয়ার দৃশ্য।
Scene 7
অসীম : (ছাদে মোবাইল ঘাঁটতে থাকে)
নন্দু : কত জনকে পাঠালি request.
অসীম : এই তো একটা মেয়ে আর সাতটা একে আটটা ছেলে।
নন্দু : ধুর ধুর তোর দ্বারা কিছুই হবে না। দে আমায় দে।
অসীম : আরে সাবধানে পড়ে যাবে।
নন্দু : আরে ভাই এতো মেয়ে, দিই সবাইকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে।
অসীম : আরে এই এই কি করছিস দে। (মোবাইল কেড়ে নেয়, সঙ্গে সঙ্গে অঞ্জনের ফোন আসে)
Scene 8
অঞ্জন : নিচে নেমে আয় ছোটো মা ডাকছে খেতে।
Scene 9
অসীম : হ্যাঁ আসছি।
অসীম : (নন্দুর দিকে তাকিয়ে) চল নিচে। (বলে মোবাইলের দিকে তাকায়)
নন্দু : (এগিয়ে যেতে থাকে)
অসীম : (Facebook Scroll করতে থাকে, গুপী স্যারকে friend request পাঠায়, profile এ engaged দেখে) ও তেরি।
নন্দু : (অসীমের দিকে ফিরে তাকায়)
অসীম : (হেসে) পরের দিন টিউশন গেলে স্যারকে পাকড়াও করতে হবে। (Screen off করে দেয়)
My Uncle's Family (Ep-5) : মানুষ করতে পারলাম না
Scene – 1
(কালো মেঘের দৃশ্য)
অসীম : (অঞ্জনের রুম থেকে বেরানোর সময় এদিক ওদিক তাকাতে থাকে। কেউ নেই দেখে ছাদে উঠে যায়)
বন্ধু : Sound quality কিরকম ?
অঞ্জন : Sound…, খানিকটা তোর earphone টার মতোই।
বন্ধু : একটা ছবি তুলে পাঠা, দেখি কিরকম।
অঞ্জন : আচ্ছা পাঠাচ্ছি এখুনি।
অঞ্জন : (রুমে ঢুকে এদিক ওদিক কিছু খুঁজতে থাকে)
Scene – 2 [ছাদে]
অসীম : (earphone টা t-shirt এর ভেতর থেকে বের করে গলায় পরে। তারপর যখন কানে লাগাতে যাবে তখনই সমস্যা…)
অসীম : (ঝুলতে থাকা গামছাটা গলায় জড়িয়ে নিচে নামতে যায়)
Scene – 3
অঞ্জন : (রুম থেকে বেরিয়ে যায়)
অসীম : (রুমে প্রবেশ করে)
Scene – 4
গান্ডু : (স্নান করতে থাকে)
ED : (দরজায় টোকা দেয়)
গান্ডু : কে রে।
ED : (দরজায় টোকা দেয়)
গান্ডু : (দরজা খুলে মাথাটা বের করে) কি হয়েছে ?
ED : (একটা কাগজ দেখায়। কাগজে লেখা ED)
গান্ডু : হি হি হি। এক মিনিট। (দরজা খুলে বেরিয়ে যায়)
গান্ডু : (হাতে কিছু কাগজ ধরা। প্রথমটা দেখিয়ে বলে) আমি পুতিন। (দাঁত বের করে হাসে)
গান্ডু : (দ্বিতীয় ছবি দেখায়) না না আমি ডোনাল্ড ট্রাম্প। হা হা হা হা।
গান্ডু : না না আমি হিটলার। হি হি হি।
ED : (জোর এক থাপ্পড় মারে)
গান্ডু : (এক পাক ঘুরে যায়)
ED : We are ED. The Directorate of Enforcement. Arrested him. (বলে ধরে নিয়ে যায়)
কেউ একজন : (পুরোনো জুতো ছুঁড়ে মারে)
গান্ডু : এই তোদের নতুন জুতো নেই নাকি রে।
Scene – 5
কাকু : (টিভির দিকে তাকিয়ে রয়েছে)
টিভি ১ : আজ উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গ জুড়ে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। (অন্য দিকে তাকিয়ে) এই আমার জামাটা শুকোলো।
কেউ একজন : তোর চাকর আছি নাকি বে।
টিভি ১ : বৃষ্টি হঠাৎই আসতে পারে। তাই যারা যারা ভিজে জামাকাপড় আন্ডার ওয়্যার ছাদে শুকোতে দিয়েছেন তারা আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করুন।
ছোটো মা : (টিভির দিকে তাকিয়ে রয়েছে)
কাকু : কোথায় দিয়েছো ?
ছোটো মা : কি কোথায় দিয়েছে ?
কাকু : (টিভির দিকে দেখিয়ে) আরে বলল যে এখুনি।
ছোটো মা : ও…। (ছাদের দিকে আঙুল দেখিয়ে) ছাদে।
কাকু : আরে ভিজে যাবে তো, কাল কি পরে স্কুলে যাবো।
ছোটো মা : তো যাও না গিয়ে নিয়ে এসো।
অঞ্জন : ছোটো মা আমার হেডফোন টা দেখেছো কোথাও ?
ছোটো মা : হেডফোন !
অঞ্জন : ওই যে সকালে একজন লোক এসে দিয়ে গেল…।
ছোটো মা : ও আচ্ছা।
অঞ্জন : রুমে ছিল ওটা কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি না কোথাও।
ছোটো মা : দেখ ভালো করে আরেকবার। কোথায় যাবে আর ওটা।
অঞ্জন : আচ্ছা (বেরিয়ে যায়)
Scene – 6
অসীম : (চারদিকে, এদিকে ওদিকে, খাটের নিচে সব জায়গায় খুঁজতে থাকে)
অঞ্জন : (দরজা ঠেলে ঘরে ঢোকে)
অসীম : (সাড়া পেয়ে একটা বই নিয়ে পড়তে থাকে)
অঞ্জন : কি ব্যাপার তুই কি করছিস এখানে ?
অসীম : কিছু না, এই বইটা একটু দেখছিলাম। (পাতা উল্টাতে থাকে)
অঞ্জন : (বইটা হাত থেকে নিয়ে টেবিলে রাখে) এ বই দেখার তোর এখনো বয়স হয়নি।
অসীম : (উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে) আচ্ছা তবে সাড়ে পাঁচ মাস পর আঠেরো বছর পূর্ণ হলে না হয় দেখবো।
অঞ্জন : আরে এটা কোয়ান্টাম, কোয়ান্টাম, কোয়ান্টাম মেকানিক্সের বই।
অসীম : (এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে) তুমি আর দেখতে দিলে কই।
অঞ্জন : (মুখে চুক শব্দ করে পকেট থেকে বের করে) ঠিক আছে বেরা এখন।
অসীম : (হঠাৎ অঞ্জনের হাতের দিকে নজর যেতে) এই তোমার হাতে কি ওটা ?
অঞ্জন : (অঞ্জন হাত তুলে দেখে)
অসীম : বাহ্ খুব দারুন জিনিস তো। দেখি দেখি। (অঞ্জনের হাত থেকে নিয়ে নেয়) আচ্ছা যাই তবে।
অঞ্জন : (সন্দেহ করে) এই দাঁড়া।
অসীম : (ঘুরে তাকায়)
অঞ্জন : (গলা থেকে গামছা খুলে নেয়)
অসীম : এই, এই, এই যাঃ !
অঞ্জন : (কিছুক্ষন চুপ থেকে) না বলে করুর কিছু জিনিস নিলে, যে নেয় তাকে কি বলে বল দেখি।
অসীম : তুমি কি আমাকে চোর বলতে চাইছো নাকি।
অঞ্জন : চাইছি না, বলছি।
অসীম : তুমি আমাকে চোর বললে, সামান্য এটাতে হাত দেওয়ার জন্য। লোকে কত কোটি কোটি টাকা চুরি করে বাথরুমে বেড রুমে লুকিয়ে রাখছে, আর আমি এইটা একবার হাত লাগাতে চোর হয়ে গেলাম। তবে টিভিতে যাদের দেখাচ্ছে তারা কী ?
Scene – 7
টিভি ১ : ডাকাত। এক একটা বড়ো ডাকাত।
কাকু : কি অবস্থা। কত জনের জীবন, কত জনের স্বপ্ন যে এরা নষ্ট করেছে তার কোনো ঠিক নেই।
টিভি ২ : কন বানেগা কড়োর পতি ?
নন্দু : নেতা বানেগা কড়োর পতি।
ছোটো মা : (নন্দের দিকে তাকায়)
কাকু : (নন্দের দিকে তাকায়)
নন্দু : Sorry, sorry.
কাকু : (মায়ের দিকে তাকিয়ে) তুমি চ্যানেল চেঞ্জ করলে কেন ?
ছোটো মা : ভাল লাগছে না আর এসব দেখতে।
স্যার : এই তো দ্বিতীয় বাবু আছেন দেখছি।
কাকু : আরে গুপী স্যার যে আসুন আসুন। (তারপর মায়ের দিকে তাকিয়ে) স্যারের বসার জন্য একটা চেয়ার নিয়ে এসো তো।
স্যার : আরে না না আমি বসবো না। কাল স্কুলে যাবো না তাই এই কাগজ গুলো দিতে এসছিলাম। একটু মনে করে হেড স্যারকে দিয়ে দেবেন এগুলো।
কাকু : হ্যাঁ হ্যাঁ।
টিভি ১ : ঘুষ দিয়ে ভর্তি হওয়া প্রায় ৩০০০ শিক্ষকের চাকরি গেল।
স্যার : (খবর শুনে চমকে টিভির দিকে তাকায়)
টিভি ১ : ওরকম ভাবে দেখার কিছুই নেই, আপনারও চাকরি যেতে পারে।
স্যার : (চমকে উঠেন)
নন্দু : (স্যারের দিকে আশ্চর্য্য হয়ে তাকিয়ে থাকে)
ছোটো মা : (স্যারের দিকে আশ্চর্য্য হয়ে তাকিয়ে থাকে)
স্যার : (নন্দু ও মায়ের দিকে চোখ চারায়)
কাকু : (কাগজ গুলো উল্টাতে থাকে)
স্যার : আরে সবাই কি আর ঘুষ দিয়ে চাকরি করছে। অনেক রয়েছে যারা পড়াশোনা করে পরীক্ষা দিয়ে নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছে।
ছোটো মা : হ্যাঁ তা তো ঠিক, তা তো ঠিক।
স্যার : আপনি বেরোবেন নাকি এখন।
কাকু : অ্যা, হ্যাঁ হ্যাঁ। (মায়ের দিকে তাকিয়ে) এই এটা রেখে দেবে তো।
ছোটো মা : (কাগজ গুলো ধরে)
Scene – 7
অঞ্জন : (ছবি তুলে নিয়ে অসীমকে দেয়) কিছুক্ষন পর ফেরৎ দিবি।
অসীম : আচ্ছা (হাত বাড়িয়ে নিয়ে বেরিয়ে যায়)
Scene – 8
নন্দু : (স্যারের দিকে আশ্চর্য্য হয়ে তাকিয়ে থাকে)
স্যার : এই কি রে!
নন্দু : (অন্য দিকে তাকায়)
কাকু : চলুন চলুন।
ছোটো মা : (বেরিয়ে যায়)
স্যার : (বেরিয়ে যায়)
নন্দু : বুঝে গিয়েছি এবার আমি কি হবো। নেতা হবো আমি, নেতা হবো।
টিভি ১ : আর পাবলিকের গা* মারবো। (বলেই মিটমিট করে তাকায়)
নন্দু : (টিভির দিকে তাকায়) এ শালা টিভি চ্যানেল গুলোও না। হ্যাট!
গান্ডু : (জেলার মধ্যে) এই আমার গার্ল ফ্রেন্ডদের গায়ে কেউ হাত লাগাবি না বলে দিলাম।
নন্দু : ধুর! (চ্যানেল চেঞ্জ করে)
টিভি ৩ : Sunday দিলাম রিয়া কে…, দিল তো দিইনি কারো কে।
অসীম : (ছাদে নাচতে থাকে। ঠিক সেই সময়ে বৃষ্টি নামে)
(আন্ডার ওয়্যার বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে)
My Uncle’s Family (Ep-7) : গুপী স্যারের মৃত্যু সংবাদ
Scene: 1
গুপী স্যার : না না তেমন কিছু নয়, আজকে ভর্তির একটা ঝামেলা আছে যে।
কাকু : মামলা, কে কার বিরুদ্ধে মামলা করলো ?
গুপী স্যার : আরে না না মামলা নয় ভর্তির কামেলা।
কাকু : ও হ্যাঁ সে তো রয়েইছে।
গুপী স্যার: তাহাড়া আপনার সঙ্গে সামান্য একটা দরকার ছিল, তাই বলছিলাম আরকি।
কাকু : ও আচ্ছা, ঠিক আছে তাড়াতাড়ি পৌছে যাবো।
গুপী স্যার : Ok রাখহি তবে এখন।
কাকু : হ্যাঁ হ্যাঁ
Scene : 2
নন্দু : (গেট খুলে ভেতরে ঢুকে আসে)
Scene : 3
ছোটো মা : (ঘরে প্রবেশ করে)
কাকু : (মায়ের দিকে তাকিয়ে) রান্না হয়ে গেছে?
ছোটো মা : ঝোলটা একটু বাকি রয়েছে।
কাকু : এখনো হলো না।
ছোটো মা : হ্যাঁ আমার তো দশটা হাত যে তুমি বলার সঙ্গে সঙ্গে হয়ে যাবে। একা হাতে সব কিছু করতে হয় আমাকে। একটু ও তো সাহায্য করতে হয় না বুঝবে কি। সেই সকাল থেকে আমাকে...
অঞ্জন : (রান্না ঘর থেকে) ছোটো মা হয়ে গেছে, এসো।
ছোটো মা : হ্যা আসছি। (ঘর থেকে বেরিয়ে যায়)
নন্দু : স্কুল যাবি তো আজকে।
অসীম : ঠাণ্ডা লাগছে প্রচুর আজকে।
নন্দু : হ্যাঁ সে তো আমারও ঠান্ডায় কাজু বাদাম হয়ে গেছে, কিন্তু স্কুল তো যেতে হবে।
অসীম : (অবাক হয়ে বন্ধুর দিকে তাকায়)
অসীম : কিছু একটা বলে ম্যানেজ করতে পারিস কিনা দেখ না।
নন্দু : যাবি না তবে।
অসীম : প্রচুর ঠাণ্ডা, যেতে ইচ্ছে করছে না।
নন্দু : দেখি কি করা যায়।
অসীম : (ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে) হুম্
ছোটো মা : (মা প্রবেশ করে) খাবার হয়ে গেছে চলে এসো।
কাকু : হুম চলো।
না : (হঠাৎ দাঁড়িয়ে প্রছে, কাকু রদিকে তাকায়)
কাকু : কি হলো দাঁড়িয়ে পড়লে কেন আবার।
ছোটো মা : (কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে) স্নান করেছো?
কাকু : (একটু অবাক হয়ে তারপর) আরে চলো চলো গরম ভাত ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।
ছোটো মা : (জোর গলায়) স্নান করেছো?
কাকু : চলো চলো দেরি হয়ে যাচ্ছে স্কুলে যেতে হবে।
ছোটো মা : স্নান করেছো হ্যাঁ কি না ?
কাকু : স্নান, মানে। উ হু হু কি ঠাণ্ডা।
ছোটো মা : তার মানে করোনি।
কাকু : আরে শীত কালে দু একদিন স্নান না করলেও চলে।
ছোটো মা : শীত কালে দু একদিন না খেলেও তো চলে। যাও স্নান করে এসো তারপর খেতে পাবে।
কাকু : কি ঝামেলা এই কনকনে শীতে স্নান করতে হবে।
ছোটো মা : (অসীমের দিকে তাকিয়ে) তুই স্নান করেছিস ?
অসীম : (মাথা কামড়াতে কামড়াতে) স্নান.... করেছিলাম মনে হয়।
ছোটো মা : যা তাড়াতাড়ি স্নান সেরে খেতে আয়। (বলে ছোটো মা চলে যায়)
অসীম : (বন্ধুর দিকে তাকিয়ে) তুই চুপচাপ কেন?
অঞ্জন : (স্নান সেরে জামা পরতে পরতে) কি রে দুই মুর্তির স্কুলে কখন যাওয়া হবে?
নন্দু : স্কুল তো হবে না।
কাকু : স্কুল হবে না, বাহ্ বাহ্ স্নান করতে হবে না তবে এখন। এই স্কুল হবে না কেন রে, আজ তো কোনো হলিডে নয়।
নন্দু : মরে গেছে।
অঞ্জন : কে মরে গেছে?
নন্দু : গুপী স্যার।
অঞ্জন : গুপি স্যার! (বিস্মিত হয়ে বন্ধুর দিকে তাকিয়ে)
কাকু : গুপি স্যার! (অবাক হয়ে বন্ধুর দিকে তাকিয়ে)
অসীম : (বিস্মিত ও অবাক হয়ে বন্ধুর দিকে তাকিয়ে ফিসফিস করে) তোকে ম্যানেজ করতে বললাম আর তুই সমস্যা ডেকে নিয়ে এলি।
নন্দু : (অসীমের দিকে তাকিয়ে) দেখ না।
অঞ্জন : (কাঁদো স্বরে) কখন মারা গেছেন গুপী স্যার।
নন্দু : কখন... কখন। (মনে করতে থাকে)
কাকু : আজকে সকালেই তো ওনার সঙ্গে কথা হলো। তাড়াতাড়ি স্কুলে যেতে বললেন।
নন্দু : সকালেই তো মরে গেলেন।
অসীম : (অবাক হয়ে বন্ধুর দিকে তাকিয়ে থাকে)
অঞ্জন : (শুকনো মুখে বন্ধুর দিকে তাকিয়ে থাকে)
কাকু : কিভাবে মারা গেলেন মানে কি হয়েছিল কিছু জানিস।
নন্দু : পাকস্থলী অ্যাটাকে মারা গেছেন।
অসীম : (কপাল থেকে মুখ অব্দি হাত টেনে আনে)
কাকু : পাকস্থলী অ্যাটাক! হার্ট এ্যাটাক শুনেছি, কিডনি অ্যাটাক শুনেছি কিন্তু পাকস্থলী অ্যাটাক...।
নন্দু : (অসীমের দিকে তাকায়)
অসীম : (বন্ধুর দিকে তাকিয়ে বুকে মেরে কিছু বোঝাতে চায়)
নন্দু : (অসীমের দিক থেকে কাকুর দিকে তাকিয়ে) না না বুকে মেরে মেরে মরে গেছেন।
অঞ্জন : বুকে মেরে মেরে মরে গেছেন মানে।
অসীম : (ফিস ফিস করে বলে) হাট হাট হাট (অঞ্জন দেখছে দেখে অন্য দিকে তাকিয়ে ফেলে)
নন্দু : (অসীমের দিকে আড় চোখে তাকায়)
অঞ্জন : (অসীমের দিকে আড় চোখে তাকায়)
নন্দু : হ্যাঁ ঠিক হাটে গিয়ে মারা গেছেন।
অসীম : (খুব ধীরে ধীরে) হার্ট এ্যাটাকে অসুস্থ হয়ে....
নন্দু : ও হ্যা হ্যা হার্ট এ্যাটাক মারা গেছেন। মনে পড়ছিল না।
অসীম : (বন্ধুর দিকে তাকিয়ে ডানে বামে মাথা নাড়ায় তারপর অন্য দিকে তাকায়)
কাকু : খুব দুঃখের সংবাদ শোনালি রে। খুব ভালো লোক ছিলেন।
নন্দু : হ্যাঁ কাকু ভালো লোক গুলোই তো সব সময় আগেই মারা যায়।
অঞ্জন : (ফোন আসতে রিসিভ করে কানে তুলে নেয়)
অঞ্জনের ১ম বন্ধু : কি রে বেরিয়েছিস।
অঞ্জন : না রে আজকে কলেজ যাবো না। গুপি স্যার মারা গেছেন ওনাকে দেখতে যাবো।
অঞ্জনের ১ম বন্ধু : কি বলছিস, কখন?
অঞ্জন : আজকে সকালে, হার্ট অ্যাটাকে।
অঞ্জনের ১ম বন্ধু: আচ্ছা আচ্ছা দাঁড়া আমিও যাবো তোর সঙ্গে।
ছোটো মা : স্নান করলে?
কাকু : আর স্নান, গুপী স্যার মারা গেছেন। যাই শেষ দেখাটা একবার দেখে আসি।
ছোটো মা : কি বলছো গো।
কাকু : হ্যাঁ আজকে সকালে, হার্ট অ্যাটাকে।
অঞ্জন : হ্যাঁ বল।
ছোটো মা : (অঞ্জনের দিকে তাকায়)
অঞ্জনের ২য় বন্ধু : বিশুর কাছে শুনলাম গুপী স্যার নাকি মারা গেছেন, সত্যি এটা।
অঞ্জন : হ্যাঁ রে আজকে সকালে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।
অঞ্জনের ২য় বন্ধু : তোরা যাচ্ছিস নাকি?
অঞ্জন : হ্যাঁ রে যাচ্ছি আমরা, তুই যাবি তো চলে আয়।
অঞ্জনের ২য় বন্ধু : হ্যাঁ হ্যাঁ যাচ্ছি যাচ্ছি ফোন রাখ।
অসীন : (বন্ধুর দিকে তাকিয়ে) বিশাল ফাঁসা ফেঁসে গেলাম।
নন্দু : (হাত তুলে আশ্বাস দেয়)
অসীম : ধ্যাত
স্কুলের একজন শিক্ষক : গুপী স্যার মারা গেছেন শুনেছেন?
কাকু : হ্যা শুনলাম একটু আগে।
স্কুলের একজন শিক্ষক : আমরা যাচ্ছি সবাই ওনার বাড়িতে, আপনিও তাড়াতাড়ি চলে আসুন।
ছোটো মা : (কাকুর দিকে তাকিয়ে থাকে)
কাকু : হ্যাঁ হ্যাঁ নিশ্চই।
অসীম : (বন্ধুর দিকে তাকিয়ে) সময় থাকতে কেটে পড়।
অঞ্জন : (অসীমের দিকে তাকিয়ে) কি রে কোথায় যাবি ?
অসীম : (কড়ে আঙুল দেখিয়ে বেরিয়ে যায়)
নন্দু : (বেরিয়ে যেতে থাকে)
অঞ্জন : কি রে? (নন্দুর দিকে ফিরে)
নন্দু : (কড়ে আঙুল দেখিয়ে বেরিয়ে যায়)
অঞ্জন : কি ব্যাপার রে, দুজনের একই সঙ্গে।
ছোটো মা : (কাকুর দিকে তাকিয়ে) যাবে যদি দেরি করছো কেন।
অঞ্জন : হ্যাঁ কাকু চলো আর দেরি করা ঠিক হবে না।
কাকু : (ফোনে রিং হতে) দাড়া এক মিনিট একটা ফোন এসছে ধরে নিই। (গুপি স্যারের ফোন আসতে, ফোন ছুঁড়ে দিয়ে) ওহঃ মরা মানুষ ফোন করেছে, মরা মানুষ ফোন করেছে।
অঞ্জন : (ফোনটাকে লুফে নিয়ে মনে মনে) কি ব্যাপার, গুপী স্যার যদি মারা গিয়ে থাকেন তবে ফোন কে করছে? (কলটা রিসিভ করে কানে তুলে নেয়)
Scene : 4 [অসীম ও তার বন্ধু রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলে]
অসীম : আমি বলবো ভেবেছিলাম গুপী স্যার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, আর তুই ফস করে বলে দিলি গুপী স্যার মারা গেছেন। এবার দেখ পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।
নন্দু : (মুখে চুক শব্দ করে) আরে কিচ্ছু হবে না তুই দেখ না।
অসীম : স্কুলের সব স্যার যখন সত্যিটা জানবে, দেখবি তখন পেছনে কত গুলো ডান্ডা পড়ে।
নন্দু : (অসীমের পেছনে হাত দিয়ে) ভালোই তো, তোর পেছনের চর্বি গুলো কমবে।
অসীম : (রেগে বন্ধুর দিকে তাকায় এবং মারার ভঙ্গিতে তাড়িয়ে নিয়ে যায়)
Scene : 5
কাকু : দিনে দুপুরে কি সব ভুতুড়ে ব্যাপার। মরা মানুষ ফোন করছে।
অঞ্জন : হ্যাঁ দিচ্ছি। হুম্ (বলে কাকু র দিকে এগিয়ে দেয়)
কাকু : মরা মানুষের ফোন...
মা : ফোনটা দিচ্ছে ধরবে তো নাকি।
কাকু : (ভয়ে ভয়ে) হ্যা হ্যা হ্যালো।
গুপী স্যার : আরে আপনি পৌঁছেছেন তো।
কাকু : মরা মানুষেও কথা বলে।
গুপী স্যার : কি ?
অঞ্জন : কিচ্ছু হয়নি স্যারের। (ধীর গলায়) সবই ওই দুটোর চাল। (বলে বেরিয়ে যায়)
কাকু : ও তাহলে আপনি মরেননি।
গুপী স্যার : কি সব উল্টো পাল্টা কথা বলছেন। আপনার মাথার ঠিক আছে তো।
কাকু : না না সবই ঠিক আছে। (হেসে) আমি একটু ইয়ার্কি করছিলাম আরকি।
গুপী স্যার : এটা ইয়ার্কি করার কোনো বিষয় হলো। আপনাকে তাড়াতাড়ি....
Scene : 6
অঞ্জন: (রাস্তায় গিয়ে চারদিকে দেখে দুই মূর্তি ভেগেছে)